Quantcast
Channel: All Bangla Choti –বাংলা চটি সমগ্র
Viewing all articles
Browse latest Browse all 1141

ছাইচাপা আগুন (পর্ব-২) – বিদ্যুৎ রায় চটি গল্প কালেকশন লিমিটেড

$
0
0

লেখক – কামদেব

।।২।।
—————————
বাস রাস্তা থেকে পাড়ায় ঢুকেছে রাস্তা।তারই পাশে আমা’দের রক।বাস থেকে নেমে বাসায় ফিরতে গেলে আমা’দের রকের সামনে দিয়ে ফিরতে হয়।আড্ডায় মশগুল থাকলেও নজর থাকে রাস্তায়।বাবা অ’ফিস হতে এই পথে ফেরে।দূর থেকে দেখতে পেলেই দৌড় লাগাতাম বাড়ির দিকে।বাসায় ফিরে আমা’কে না দেখলে তুলকালাম কাণ্ড।যে সময়ের কথা বলছি মা’রধোর না করলেও বাবাকে ভয় পেতাম যমের মত।এই শাসনের জন্য হয়তো  আমা’র মধ্যে তৈরী হয়ে থাকবে গোপনে সাধ মেটা’বার প্রবণতা।সব কিছুরই ভাল মন্দ দুই দিক থাকে।নির্ভেজাল ভাল কিম্বা মন্দ কিছু হয়না।
সবারই প্রায় প্রেমিকা আছে বঙ্কা কাউকে জোটা’তে পারেনি।একটু ভীরু প্রকৃতি দেখতে শুনতে তেমন নয়।বেটে খাটো দু কাধ উচু করে কুজো হয়ে চলে।সেই বঙ্কা একদিন এক কাণ্ড ঘটা’লো।কি কারণে কলেজ ছুটি ছিল সকাল থেকে জমে গেছে।বেলা গড়াতে গড়াতে কোথায় চলেছে সেদিকে খেয়াল নেই।কোথা থেকে ছুটে এল বঙ্কিম।থর থর করে কাপছে সারা গালে আচড়ের দাগ রক্ত ফুটে উঠেছে।নিমু শুভ পানের দোকান থেকে চুন এনে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিল।অ’নেক জিজ্ঞাসার পর বলল,কল্পনা আচড়ে দিয়েছে।
একটা’ পুরানো আমলের দোতলা  বাড়ীর একতলায় ভাড়া থাকে বঙ্কিমরা।দোতলায় থাকে কল্পনারা।দোতলায় বাথরুম নেই।একতলায় উঠোনে টিনের চালার বাথরুম।উপর থেকে কল্পনা বাথরুম করতে এসেছিল বঙ্কিম নিজে ঠিক রাখতে না পেরে বাথরুমে ঢুকে জড়িয়ে ধরেছিল কল্পনাকে।আত্মরক্ষার জন্য কল্পনা আচড়ে কামড়ে বঙ্কিমের এই দশা করেছে।সবাই বঙ্কিমকে তিরস্কার করে।মনোসিজেরও খারাপ লাগে একটি মেয়ের সঙ্গে বঙ্কিমের এই আচরণ।বঙ্কিম চোরের মত চুপচাপ শুনছিল।আশিসদা যা না তাই বলছিল।এক সময় বঙ্কিম ক্ষেপে গিয়ে বলল,আশিসদা বেশি ঘাটিও না তুমি কি করেছিলে মনে নেই?
–কি করেছিলাম রে বোকাচোদা–।আশিসদা তেড়ে উঠতে সবাই ধরে ফেলে।
–নিজেদের মধ্যে কি আরম্ভ করলি’?নিমু বলল।
–আমি করলাম?তোরা শুধু আমা’রটা’ই দেখলি’?
–বেলা আশিসদার লাভার  ছিল কল্পনা তোর কে?
–তাহলে ফুটিয়ে দিল কেন?
–দ্যাখ ভাল হবে না বলছি–আমা’র মা’থায় খুন চড়ে যাচ্ছে।আশিসদা আঙুল উচিয়ে বলল।
অ’নেক বুঝিয়ে দুজনকে নিবৃত্ত করা হল।বঙ্কার মত নিরীহ ভীরু স্বভাবের ছেলে কিভাবে এরকম করল ভেবে অ’বাক লাগে।অ’নুমা’ন করি কল্পনার উপর নজর ছিল অ’নেক দিন থেকে।রোজ দেখতে দেখতে এক সময় এমন হয় নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি অ’গ্র পশ্চাত না ভেবে আক্রমন করেছিল।এখন মনে হল অ’নুতপ্ত বুঝতে পেরেছে কাজটা’ গর্হিত হয়েছে।ভাগ্যিস কল্পনা চিৎকার করেনি তাহলে জানাজানি হয়ে কেলেঙ্কারির একশেষ হত।এখন মিটেছে আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।ঝগড়ার মধ্যে আশিসদার ব্যাপারটা’ জানতে পারল মনা।বেলাকে চেনে কয়েকবার দেখেছে কিন্তু আশিসদার সঙ্গে এক সময় সম্পর্ক ছিল জানত না। সেদিন দুপুরের আড্ডা ভঙ্গ হল।
ভেবেছিল ব্যাপারটা’ মিটে গেছে।ভাবনায় ভুল ছিল বুঝল সন্ধ্যবেলা।
বি’কেল হতেই একে একে জড়ো হতে থাকে।বঙ্কিমও এসেছে,এখন কিছুটা’ স্বাভাবি’ক।মনা লক্ষ্য করে তাকে আড় চোখে দেখছে।সবে মা’স দুয়েক এসে ব্যাপারটা’ জেনে গেল সেজন্য হয়তো লজ্জা পাচ্ছে।
শুভ ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞেস করে,বঙ্কা তুই কি কিস করতে গেছিলি’?
–ছাড়তো এসব ভাল লাগছে না।বঙ্কিম হেসে বলল।
নির্মল বলল,মেয়েরা সব দিতে পারে কিন্তু আত্মমর্যাদা বি’কিয়ে নয়।
নিমুর কথাটা’ মনোসিজের ভাল লাগে।বঙ্কা এক লাফে এক কাদি ছুতে গেছিল।বঙ্কা বলে,কি যে হল শালা নিজেরই অ’বাক লাগছে।চিল্লামিল্লি’ করলে আমা’দের বাড়ী ছাড়তে হতো।ভাবছি মওকা পেলে ক্ষমা’ চেয়ে নেবো।
–সাবধান শেষে উলটো বুঝলি’ রাম না হয়ে যায়।নিমু সতর্ক করে।
মনা ঘটনাটা’ নিয়ে মনে মনে নাড়াচাড়া করে।কল্পনা চিৎকার করে লোক জড়ো করেনি যা করার নিজেই করেছে তবে কি বঙ্কার প্রতি দুর্বলতা আছে?দুপুরের ব্যাপারটা’ আশিস ভুলতে পারেনি মুখ গোমড়া করে বসে আছে।”শান্ত নীড়” ফ্লাটের কাজ তখনো শেষ হয়নি।বেলাকে নিয়ে মা’ঝে মা’ঝে ঐ ফ্লাটে গিয়ে গল্প করত।বি’য়ের কথা বি’য়ের পর কেমন হবে তাদের জীবন নানা বি’ষয় নিয়ে আলোচনা হতো।এক-আধবার কিস করেছে।বেলা না-না করলেও রাগ করেনি।সেদিন কি যে হল,বেলা ওভাবে রিএ্যাক্ট করবে বুঝতে পারেনি।বি’য়ের পর কি চুদতো না।এমন ভাব করল যেন সতীলক্ষী। ছোটোলোক জানোয়ার কিনা বলেছে।তারপর থেকে যোগাযোগ নেই।দেখা হলে এমনভাব করে যেন চেনেই না।
–কিগো আশিসদা একদম চুপচাপ?দিলীপ জিজ্ঞেস করল।
–না ভাবছি।
–সেদিন গাব্বুপিল করতে পারলে পার্টি তোমা’র সঙ্গে লেগে থাকতো।
–তুই এক গাব্বু পিল ছাড়া কিছু বুঝিস না?শুভ বলল।
মনা আড়চোখে দিলীপকে দেখে।ছেলেটা’ রাফ টা’ইপের,মেয়েদের প্রতি কোনো সমীহের ভাব নেই।সন্ধ্যে হবার মুখে ওরা উঠি-উঠি করছে এমন সময় জনা পাচেক ছেলে এসে ষণ্ডা গোছের একজন জিজ্ঞেস করে,বঙ্কা কে?
–আমি।কি দরকার?
ছেলেটি রকে উঠে বঙ্কমের কলার চেপে বলল,বোকাচোদা তোর রস বের করছি।
হেচড়ে বঙ্কিমকে রাস্তায় টেনে নিয়ে যায়।বঙ্কার এই হেনস্থা দেখে মনার খুব খারাপ লাগে লাফিয়ে উঠে কাছে গিয়ে বলল,কলার ছাড়ুন।
দিলীপ ভাবে এবার মনাটা’ ক্যালানি খাবে,ওস্তাদি বেরিয়ে যাবে।সব বাপুজী কলোনীর ছেলে।
–কলার না ছাড়লে কি করবি’?
–গুরু মা’লটা’ নতুন আমদানী মনে হচ্ছে।ওদের একজন বলল।
–আপনি কলার ছাড়বেন কিনা?
–ভজার পাঞ্জা কচ্ছপের কামড় যা ধরে তা ছাড়েনা।
মনে দু-হা’তে ভজার হা’ত চেপে এমন মোচড় দিল হা’ত শিথিল হয়ে গেল।মনা বঙ্কিমকে বলল,তুই রকে গিয়ে বোস।
বঙ্কার চোখ ছানাবড়া শালা মনার সাহস আছে।আকস্মিক আক্রমণে ভজা হতবাক।কয়েকজন এগিয়ে আসতে ভজা তাদের বি’রত করে।
মনা বলল,এবার বলুন বঙ্কা কি করেছে?
— কি করেছে জানেন না?
দিলীপ রক থেকে নেমে মনার পাশে এসে দাড়ালো।মনা বলল,সেটা’ই তো জানতে চাইছি।
–ওর লভারকে ইঞ্ছাল্ট করেছে।কিরে সোমু বল না।
সোমু এগিয়ে এসে বলল,দেখুন ভাই আমি আপনাকে চিনিনা।বঙ্কা আজ যা করেছে আমি মুখে বলতে পারব না।
–আপনাকে বলতে হবেনা।আমি জানি বঙ্কা খুব অ’ন্যায় করেছে আপনি বলুন বঙ্কাকে মা’রলে তার প্রতিকার হবে?আমি কথা দিচ্ছে বঙ্কা ভদ্রমহিলার কাছে গিয়ে পায়ে হা’ত দিয়ে ক্ষমা’ চেয়ে আসবে।
–কিরে সোমু তাহলে হবে তো?ভজা বলল।
–ঠিক আছে তোরা সবাই যখন বলছিস–।
ভজা যাবার আগে দিলীপকে বলল,এ্যাই শোন।
দিলীপ একবার রকের দিকে চেয়ে এগিয়ে গেল।
ভজা জিজ্ঞেস করে,ছেলেটা’ কে রে?
–ওর নাম মনোসিজ মা’স দুই-তিন শান্তনীড়ে এসেছে।আমা’র ফ্রেণ্ড।
আশিস বুঝতে পারে বঙ্কা ভুল জায়গায় ঢিল মেরেছে।বোকাচোদা জানে না কল্পনার লভার আছে।দু-ঘা দিলে ভাল হতো।
দিলীপ ফিরে আসতে বঙ্কা জিজ্ঞেস করল,কি বলছিল রে?
–বলল মনা নতুন তাই কিছু বলেনি।
–কিছু বললে মনা ছেড়ে দিত?বঙ্কা বলল।
–শোন বঙ্কা তুই মহিলার কাছে ক্ষমা’ চেয়ে নিবি’।মনা বলল।
–সে তোমা’য় বলতে হবে না।তুমি আজ যা দেখালে গুরু–।বঙ্কা বলল।
বঙ্কার মুখে গুরু শুনে অ’নেকদিন পর কেলোদের কথা মনে পড়ল।ওরা তাকে গুরু বলতো।
দূরে নজরে পড়ে বাবা আসছে।মনা লাফ দিয়ে নেমে বাসার দিকে ছূটলো।সবাই হতচকিত হলেও পরে বুঝতে পারে মনা বাবাকে দেখতে পেয়েছে।এক্টু আগে ভজাদের সামনে রুখে দাড়িয়েছিল যে মনা বাবার ভয়ে উর্ধশ্বাসে দৌড়ানো মনা যেন আলাদা।ওর বাবাকে দেখে মনে হয় ভদ্রলোক খুব শান্ত প্রকৃতি।
মনা চলে যেতে আসিস জিজ্ঞেস করে,দিলীপ ওদের চিনিস?
–হ্যা বাপুজী কলোনীতে থাকে।
–বেপাড়ার ছেলে আমা’দের পাড়ার মা’ল পটা’বে?ওর লাভারের নাম ক্কিই বলল যেন?
–সোমনাথ।শুভ বলল।
–মা’গীটা’ ডুবে ডুবে জল খায়।
–মা’গী বলছো কেন?বঙ্কিম প্রতিবাদ করে।
–তোর গাড়ে এত কেন লাগছে?
–আশিসদা তুমি অ’নেক্ষন থেকে আলতু ফালতু বকছো কিন্তু–।
–যাহ শালা যার জন্য চুরি করি সেই বলে চোর!
–যা করার মনা করেছে তুমি কি করেছো?
— এ্যাই বঙ্কা তোরা থামবি’ ছেড়ে  দাও আশিসদা ফালতু ঝামেলা করে কি হবে।
নিমু গজগজ করে যখন ভজারা এসেছিল সাণ্টিং মেরে বসেছিল।চলে যাবার পর বাতেলা হচ্ছে।

চলবে —————————

The post ছাইচাপা আগুন (পর্ব-২) – বিদ্যুৎ রায় চটি গল্প কালেকশন লিমিটেড appeared first on All Bangla Choti - বাংলা চটি সমগ্র.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 1141

Trending Articles